সেরা ৫ টি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ – ২০২১ 

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠকগণ।  আশা করি সকলেই ভাল আছেন।  আজকে আমরা কথা বলবো মূলত প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ নিয়ে। বর্তমান সময়ে তথ্য প্রযুক্তির যুগ।  এই যুগে  আপনি যত টেকনোলজি সম্পর্কে জানতে পারবেন আপনি তত এগিয়ে থাকবেন।  অ্যাপস হতে শুরু করে ওয়েবসাইট,  প্লেন কন্ট্রোল,  বিভিন্ন  সক্রিয়  কাজ  ইত্যাদি এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে করা হয়।  আপনি নিজেকে যত বেশি প্রগ্রামে আদর্শ করতে পারবেন। আপনি তত বেশি এগিয়ে থাকবেন।  আজকে আমরা এমন পাঁচটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে কথা বলবো যেগুলো বর্তমানে সেরা অবস্থানে রয়েছে এবং এগুলোর ফিউচারে অনেক ভালো। চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা।

প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ কাকে বলে ?

যদি সহজ এবং এক কথায় বলি  তাহলে, কোনো সমস্যা সহজে সমাধানের জন্য  সম্পাদনের অনুক্রমে প্রদত্ত ধারাবাহিক নির্দেশ বা নির্দেশাবলি সাজানোর কৌশলই প্রোগ্রামিং ।  আর ওই নির্দেশ গুলো যে মাধ্যমে বা  ভাষার মাধ্যমে দেওয়া হয় তাকে বলা হয় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ।

সেরা ৫ টি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ 

১. পাইথন 

আমাদের এই লিস্টে সবার প্রথমে আছে পাইথন। ha ckr.io 21 সালের রিপোর্ট অনুযায়ী  সেরাদের কাতারে রয়েছে পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। ১৯৯১ সালে গুইডো ভ্যান রস্যিউম হাত ধরে পাইথন ভাষার সৃষ্টি। মূলত পাইথন হচ্ছে গিয়ে একটি object-oriented প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ।  সময়ের সাথে সাথে এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাইথনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য গুলো হচ্ছে:

  • OOP বৈশিষ্ট্যেপূর্ণ ক্লাস ,অবজেক্ট এর তৈরি এবং এটি ব্যবহার করা সহজ ।
  • বিশাল লাইব্রেরি ।
  • পাইথন কোডের readability উপর খুবই ফোকাস করে।
  • পাইথন সবচেয়ে জটিল অ্যাপ্লিকেশন স্কেল করার ক্ষমতা আছে ।
  • প্রোটোটাইপ তৈরি এবং দ্রুত ধারণা পরীক্ষা করার জন্য পাইথন বেশি উপযোগী।
  • ওপেন সোর্স প্রোগ্রাম। ফলে যে কেউই চাইলে শিখতে পারবে।
  • পাইথন অনেক প্ল্যাটফর্ম এবং সিস্টেমে সাপোর্ট করে।
  • পাইখন শিখা এবং ব্যবহার করা খুব সহজ।

২. জাভা

মূলত যাব একটি পূর্ণাঙ্গ অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা আবার এই ভাষাকে ইন্টারনেটের ভাষায় বলা হয় । অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড ল্যাঙ্গুয়েজ এর প্রধান তিনটি বৈশিষ্ট্য  যথা: পলিমরফিজম,  ইনহেরিটেন্স এবং এনক্যাপসুলেশন  সহ অন্যান্য যেসব বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন তার সবকিছুতেই জাভা প্রোগ্রাম এর রয়েছে।  ’সান মাইক্রোসিস্টেমস’ কোম্পানি গবেষক জেমস গুরু সিং এর নেতৃত্বে একদল প্রোগ্রামার গ্রীন প্রজেক্ট এর আওতায় ১৯৯৬  সালে জাভা ভাষার সর্বপ্রথম ভার্শন প্রকাশ করেন। যাবার বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য হলো :

  • অবজেক্ট অরিয়েন্টেড
  •  কম্পাইল্ড
  •  প্ল্যাটফর্ম নির্ভরশীলতা
  •  পোর্টেবল
  •  ভালো ক্ষমতা সম্পন্ন
  •  সহজ,  সাবলীল  ও ছোট
  •  নিরাপদ
  •  গতিশীল ও সম্প্রসারণ যোগ্য
  •  ডিস্ট্রিবিউটেড
  •   মাল্টি ট্রেডেড

৩. C/C++

নিজেকে সম্পূর্ণরূপে প্রোগ্রামার হিসেবে তৈরি করতে এবং বেসিক কনসেপ্ট গুলো ক্লিয়ার করার জন্য প্রোগ্রামিং এর কোন বিকল্প নেই।  আপনি যদি বেসিক বিষয়গুলো মেনে শিখতে চান আপনার জন্য সেরা অপশন হবে হচ্ছে গিয়ে সি প্রোগ্রামিং শেখা । যে সি প্রোগ্রামিং বেসিক কনসেপ্ট খুলো ক্লিয়ার করতে পারবে তার জন্য অন্যান্য প্রোগ্রামিং একেবারেই তুলনামূলকভাবে সহজ মনে হবে। তাই আমি বলবো আপনি যদি এখন হাই স্কুল লেভেল এ থাকেন এবং নিজেকে একজন প্রোগ্রামার হিসেবে গড়ে তুলতে চান তাহলে এখনি সি প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করুন এরপর আপনি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং মুখ করলেও আপনার কনসেপ্টগুলো বুঝতে আর অসুবিধা হবে না।

৪. জাভাস্ক্রিপ্ট

বর্তমান সময়ের বহুল আলোচিত এবং জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ হচ্ছে এই জাভাস্ক্রিপ্ট।   সময়ের সাথে সাথে এর চাহিদা  তত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

১৯৯৫ সালে নেটস্কেপের প্রকৌশলী ব্রেন্ডন আইক তৈরি করেন এই জাভাস্ক্রিপ্ট প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। এটি বিশেষ করে ওয়েব ডেভলপারদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ল্যাঙ্গুয়েজ। এই জাভা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের রয়েছে সমৃদ্ধ  লাইব্রেরি  এবং ফ্রেমওয়ার্ক।  এছাড়াও জাভাস্ক্রিপ্ট প্রোগ্রামের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো :

  • এটি ওয়েবের বহুল ব্যবহৃত প্রোগ্রামিং ভাষা ।
  • এটি ওয়েব ব্রাউজারে রান হতে পারে।  তাই জন্য আলাদা কোন সফটওয়্যার প্রয়োজন নেই। 
  • ওয়েবসাইটে একটি সমৃদ্ধ ইন্টারফেস দেয় জাভাস্ক্রিপ্ট।
  • Highly versatile
  • ECMA স্পেসিফিকেশনের মাধ্যমে নিয়মিত আপডেট
  • তুলনামূলক সহজ
  • বিশাল লাইব্রেরি ও ফ্রেমওয়ার্ক রযেছে
  • বিভিন্ন ধরণের অ্যাপ্লিকেশন তৈরির জন্য ব্যবহৃত করা যায়
  • অন্যান্য প্রোগ্রামিং ভাষার সাথে সহজেই কাজ করা যায়। 

৫.সি#

সি# হলো একটি উচ্চতর অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ।  এর আগে ল্যাঙ্গুয়েজ গুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধতা দূর করে প্রোগ্রামিং  ভাষাটি তৈরি করা হয়।  এটির প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০০  সালে  মাইক্রোসফট এর মাধ্যমে। বর্তমান সময়ে গেম তৈরীর ক্ষেত্রে এর চাহিদা অনেক বেশি। এছাড়াও মাইক্রোসফট নিজেই তাদের মাইক্রোসফট অফিসে উইন্ডোজ এর ব্যবহার করেছে । হের বিশেষ কিছু সুবিধা হল:

  •  C এবং C++ এর চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ
  • এর মাধ্যমে আলাদা আলাদাভাবে কোট করে কাজ করা যায়
  • এটি auto-update যোগ্য
  • সি প্রোগ্রামিং ভাষার অনুরূপ একটি সিনট্যাক্স অনুসরণ করে
  • .NET লাইব্রেরির সাথে সম্পূর্ণরূপে একত্রিত সি#
  • সব ধরনের উইন্ডোজ ডেভেলপমেন্টের জন্য বহুল ব্যবহৃত
  • লাইব্রেরি ফাংশনর সমৃদ্ধ
  • নিরাপত্তা বেশি
  • দ্রুত  compilation ও execution  করা যায়।

এছাড়া আরো কিছু প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বর্তমানে চাহিদা পাচ্ছে সেগুলো হলো PHP, Swift, R, Go , MATLAB ইত্যাদি।

আজ এ পর্যন্তই।  আপনাদের কোন জিজ্ঞাসা থাকলে অবশ্যই আমাদের করতে পারেন।  পরবর্তীতে আপনারা কোন ধরনের বিষয় নিয়ে জানতে চান সেটা অবশ্যই আমাদের কে কমেন্ট করে অথবা ই-মেইল এর মাধ্যমে জানাতে পারেন।  আমরা সেই বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *